কি করে তৈরী হয়
পারমানবিক বিদ্যুৎ?
পারমাণুর
নিউক্লিয়াসে (কোরে) আবস্থিত আবদ্ধ শক্তিকে পারমাণিবিক শক্তি বলে। পরমাণুকে ভেঙ্গে এ
শক্তিকে মুক্ত করে সেই শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।আসলে শক্তিটি আসে
তাপ শক্তি হিসেবে। এ তাপ শক্তি পানিকে বাষ্পে পরিণত করে।
বষ্প-চাপ টারবাইন ঘুরেয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে থাকে। উৎপাদিত
এ বিদ্যুতই হলো পাররমাণবিক বিদ্যুৎ। নিউক্লিয়ার ফিশন এবং নিউক্লিয়ার ফিউশন এ দুটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে
পরমাণুস্থিত নিউক্লিয়াস থেকে এ শক্তি নির্গত হয়ে থাকে।
রুপপুর পারমাণুবিক
বিদ্যুৎ কেন্দ্র যে প্রক্রিয়া ব্যবহার করা হবে
ইউরেনিয়াম-২৩৫(235U)-এর
নিউক্লিয়ার ফিশন প্রক্রিয়াঃ
আমাদের
রুপরুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে নিউক্লিয়ার ফিশন প্রক্রিয়াটি ব্যবহার করা হবে।
ইউরিনিয়াম-২৩৫ (235U) পরমানুকে ভেঙ্গে প্রাপ্ত তাপকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ
উৎপাদন করা হবে। এ ভাঙ্গার কাজটি করবে নিউট্রন। এতে পৃথিবী বিখ্যাত পদার্থ বিজ্ঞানী
আইনস্টাইনের সাড়া জাগানো E=mc2 সূত্রানুযায়ী এক পরমাণু ইউরোনিয়াম-২৩৫
(235U)
থেকে ২০০MeV শক্তি উৎপাদন হবে। উৎপাদিত শক্তিটি আসবে
এক পরমাণু ইউরোনিয়াম-২৩৫ এর ভর এবং বিক্রিয়ায় উৎপাদিত এক পরমাণু জেনন-১৪৩ (143Xe) ও এক পরমাণু স্ট্রনশিয়াম-৯০ (90Sr) এর ভরের পার্থক্য থেকে। ইউরেনিয়াম-২৩৫(235U)-এর
নিউক্লিয়ার ফিশন প্রক্রিয়াঃ
আমাদের
রুপরুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে নিউক্লিয়ার ফিশন প্রক্রিয়াটি ব্যবহার করা হবে।
ইউরিনিয়াম-২৩৫ (235U) পরমানুকে ভেঙ্গে প্রাপ্ত তাপকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ
উৎপাদন করা হবে। এ ভাঙ্গার কাজটি করবে নিউট্রন। এতে পৃথিবী বিখ্যাত পদার্থ বিজ্ঞানী
আইনস্টাইনের সাড়া জাগানো E=mc2 সূত্রানুযায়ী এক পরমাণু ইউরোনিয়াম-২৩৫
(235U)
থেকে ২০০MeV শক্তি উৎপাদন হবে। উৎপাদিত শক্তিটি আসবে
এক পরমাণু ইউরোনিয়াম-২৩৫ এর ভর এবং বিক্রিয়ায় উৎপাদিত এক পরমাণু জেনন-১৪৩ (143Xe) ও এক পরমাণু স্ট্রনশিয়াম-৯০ (90Sr) এর ভরের পার্থক্য থেকে।