আমাদের মাইক্রোকন্ট্রোলার এর সবকিছু নিয়ন্ত্রিত হয় ৫ ভোল্টে। এখন যদি মাইক্রোকন্ট্রোলার দিয়ে আমি একটি ১২ ভোল্টের মোটর চালাতে ছাই তাহলে কি করবো? ১২ ভোল্ট দিলে মাইক্রোকন্ট্রোলার পুড়ে যাবে আবার ৫ ভোল্ট দিলে মোটর চলবে না! ঘাবড়াবার কিছুই নেই। আমরা ৫ ভোল্টকে অ্যামপ্লিফাই করে ১২ ভোল্টে নিয়ে তারপর কাজ করবো।
ভোল্টেজ কিংবা কারেন্ট অ্যামপ্লিফাই করার সবচেয়ে সহজ ও সস্তা উপায় হল ট্রানজিস্টর। এই ট্রানজিস্টরের হাত ধরেই আধুনিক ডিজিটাল ইলেক্ট্রনিক্সের সূচনা। ১৯৪৮ সালে আমেরিকার বেল টেলিফোন ল্যাবরেটরীর তিন জন বিজ্ঞানী যে. বারডিন,ডব্লুউ. এইচ ব্রাটেন এবং ডাব্লুউ শকলে ট্রানজিস্টর আবিস্কার করেন। ট্রানজিস্টার হল “Transforming Resistor”. ট্রানজিস্টরের সুইচিং মোডে কিংবা অ্যামপ্লিফাইয়ার মোডে কাজ করানো সম্ভব। দুটি কাজই মোটামুটি এক। অ্যামপ্লিফিকেশনের অর্থ হল কোন সিগনালকে বর্ধিত করা। অ্যামপ্লিফিকেশনের সর্বোচ্চ পর্যায়ে চালানোর অর্থই হল ট্রানজিস্টরকে সুইচিং মোডে চালানো। ট্রানজিস্টরের বেইজে (Base) এ অল্প কারেন্ট দিয়ে Emitter এবং Collector এর মধ্যদিয়ে বেশি কারেন্ট প্রবাহ করা যায়। কারেন্টের এই অ্যামপ্লিফিকেশনকে একটি রেজিস্টর দিয়ে ভোল্টের অ্যামপ্লিফিকেশনে পরিবর্তন করা সম্ভব। নিচে দেখানো হল কিভাবে একটি ৯ ভোল্টের মোটরকে মাইক্রোকন্ট্রোলার এর সাহায্যে চালানো যায়।
Transistor Interfacing Circuit:
এখানে একটি ডায়োড ব্যবহার করা হয়েছে মোটরের Back EMF রোধ করার জন্য। মোটর হল এক ধরণের ইন্ডাক্টর। তাই যখন মোটরে বিদ্যুৎ প্রবাহ বন্ধ করা হয় তখন মোটরের কয়েলে সঞ্চিত EMF এর জন্য বিপরীত দিকে তড়িৎ প্রবাহিত হওয়ার চেষ্টা করে। ফলে এটি ট্রানজিস্টর কিংবা মাইক্রোকন্ট্রোলার এর ক্ষতি করতে পারে। তাই এখানে এই ডায়োড লাগানো হয়েছে যাতে বিপরীত দিক থেকে আসা তড়িৎ প্রবাহ ট্রানজিস্টর কিংবা মাইক্রোকন্ট্রোলার এ না গিয়ে আবার মোটরেই ফিরত আসে। এখন PIN1 কে অন-অফ করলেই মোটর অন-অফ হবে
0 comments:
Post a Comment